৳ 170.0 Original price was: ৳ 170.0.৳ 145.0Current price is: ৳ 145.0.
‘শরিয়তি সেজদা মারেফতি সেজদা’ বইটি ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী’র অন্যতম একটি সুফিবাদী তথা আত্মদর্শণমূলক বই। এখানে লেখক দেখিয়েছেন – মানুষ মূলত সেজদা করে সৃষ্টিকর্তাকে তার ইচ্ছাকে শপে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ সেজদা এখানে দুই প্রকার একটা হলো শরিয়তি সেজদা, অপরটি মারেফতি সেজদা। শরিয়তি সেজদা হলো দেহের তথা ফিজিক্যাল সেজদা বা শারিরীক নমনীয়তা এবং মারেফতি সেজদা হলো মনের সেজদা তথা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, নিয়ম বা নীতির উপর নিজের ইচ্ছাকে সম্পুর্ণরুপে আত্মসমর্পণ করানো। মূলত আল্লাহ মানুষের দেহের সেজদা চান না, আল্লাহ চান মানুষ মন থেকে সেজদা করুক। আর এই মন থেকে সেজদাই হলো প্রকৃত সেজদা তথা মারেফতি সেজদা।
কেননা, মানুষ দেহের সেজদা করে ঠিকই কিন্তু মনের সেজদা করেনা, অর্থাৎ সেজদা করে মানে নিজেকে দেখায় যে সে আল্লাহর প্রতি নমনীয়, আল্লাহর হুকুমের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছে কিন্তু আদতে সে আল্লাহর অধিকাংশ হুকুমের বাইরে যায় বা বাইরেই থাকে। অর্থাৎ সে শারিরীক সেজদা করে আবার মিথ্যা কথা বলে, ঘুষ খায়, ওজনে কম দেয়, ভেজাল মেশায়, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, আমানতের খেয়ানত করে, মিথ্যা সাক্ষী দেয়, অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে, অন্যকে গালাগালি, কটাক্ষ, মিথ্যা অপবাদ ও অপদস্থ করে, অন্যের হক নষ্ট করে ইত্যাদি এগুলো সবই আল্লাহর হুকুমের বাইরে তথা আল্লাহর নীতি এবং আইনকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা, অবহেলা করা। তাহলে তার সেই দেহের সেজদার কি কোনো মূল্য রইলো?
‘শরিয়তি সেজদা মারেফতি সেজদা’ বইটিতে লেখক মূলত সেই বিষয়টিই সুন্দর, সাবলিল ও কুরআনিক যুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন।
ধরন | হার্ড কভার | ৮০ পৃষ্ঠা |
প্রথম প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ |
প্রকাশনী | সূফীবাদ প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Reviews
There are no reviews yet.