‘ভন্ড পীর ও পাগলা কুকুর হতে সাবধান’ বইটির শিরোনাম দেখেই পাঠক বুঝতে পারছেন লেখক কি বলতে চেয়েছেন। লেখক ডা. বাবা জাহাঙ্গীর নিজে একজন ওলি ও পীর হওয়া সত্ত্বেও একরকম একটি বক্তব্যমুলক বই লিখেছেন যা রিতিমত সাহসের পরিচয়। বর্তমানে এই উপমহাদেশ সহ সারা বিশ্বে প্রায় অধিকাংশ পীর এবং ওলিই যেখানে ভন্ড, ব্যক্তি পূজারী এবং ধর্ম ব্যবসায়ী সেখানে লেখক ডা. বাবা জাহাঙ্গীর নিজের বিপক্ষে যেতে পারে জেনেও এমন একটি দুঃসাহসিক বই লিখেছেন। মূলত তিনি ভক্ত বাড়ানোর জন্য বা নিজের পীরগিরি করার জন্য কখনো বাসনা বা চেষ্টা করেন নি, বরং ভক্তদের উদ্দেশ্যে সব সময়ই তিনি বলতেনঃ “আমি সত্য চাই সাইনবোর্ড চাইনা। পীর বড় নয় সত্য পাওয়াটাই বড়।” কিংবা, বলেছেনঃ “হে সাধক মুরিদ শত শত পীর বদলাও, শত শত বার মুরিদ হও কিন্তু তোমার উদ্দেশ্য থাকতে হবে ‘আমি সত্য পাব কিভাবে’?”
আর সেই সত্য পাবার সাধনা এবং উপদেশ দিতে গিয়েই তিনি এই বইটি লিখেছেন। ‘ভন্ড পীর ও পাগলা কুকুর হতে সাবধান’ বইটির মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
**ভন্ড পীর *ধর্মের সাইনবোর্ড *সত্য পাবার জন্য সঠিক পীর *একজন ভন্ডের ভন্ড পীর নামধারীর কাহিনী *কী চমৎকার দেখা গেল *এখনও বুঝতে পারো নাই? *নকল হইতে সাবধান *কোরানের তেলেসমাতি অনুবাদ *হায়রে মেরি খালাম্মা, হামকো মারডালা! *কী সুন্দর বয়ানের বমি *এরাই ফকিরির বারোটা বাজায় *যেমন সুন্দর মুরিদ তেমনই পীর *কথার বস্তা পাই, আসল বিষয়টি নাই *ছবির গোপন কথা *বাকির নাম ফাঁকি *সত্য চিরদিন উলঙ্গ *বান্দার হক মেরে দিলে পার পাওয়া যাবে কি? ইত্যাদি সহ প্রায় ৯৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
BoiJagot Author (verified owner) –
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অধিকাংশ পীর, ফকির তথা সুফি নামধারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও এর সাথে সংশ্লিষ্ঠ কার্যক্রম ভন্ডামিতে ভরা। প্রকৃত সুফি তথা আল্লাহর অলি ও পীর পাওয়া দূষ্কর। তাই ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী নিজে একজন আল্লাহর অলি, কামেল পীর হওয়া স্বত্বেও ভন্ড পীরকে পাগলা কুকুরের সাথে তুলনা করে তার থেকে সাবধানে থাকতে বলেছেন। বাস্তব উদাহরণসহ লেখা চমৎকার একটি বই হল ‘ভন্ড পীর ও পাগলা কুকুর হতে সাবধান’।