সারসংক্ষেপ

কিছু প্রশ্নের উত্তর কিছু জিজ্ঞাসা। প্রয়োজন প্রতিজনের। খুজে পাওয়া যাবে মারেফতের বাণী বইটিতে। বইটি লিখেছেন — ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী। “শুরু যার আছে শেষও তার পিছে। তাই শেষ হওয়ার আগে শুরুকে করতে হবে মিছে।”

ভেঙ্গে ভেঙ্গে ব্যাখ্যা করে যুক্তির ধারলো তরবারির উপর দিয়ে হেঁটে চলার অভ্যাস হল বিজ্ঞান, দর্শণ এবং আধ্যাত্মবাদ। এখানে গোঁড়ামির স্থুলতাকে দেয়ালরুপে দাঁড় করাতে চাইলে পিছিয়ে পড়তে হয় মনের অজান্তে। কিছুদিন পরই একটি জাতি তখন ভদ্র ভিক্ষুকের জাতিতে পরিনত হয় আপন নিয়মের পরিনতিতে। কারণ, ইতিহাস একদিনে তৈরি হয় না। সুতরাং সত্য জানতে গবেষনার বিকল্প নাই। আর এই গবেষণার আসল-নকলের উপর দাঁড়ীয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হয়। কেননা, হাঁটতে শেখার সময় আছাড় খাওয়া নিষিদ্ধ, কিংবা সাঁতার কাটতে গেলে পানি খাওয়া বারণ এরকম বোকামি কথা বললে শিক্ষা তথা গবেষণার মাথায় আঘাত লাগে। স্থবিরতা টেনে আনে পঙ্গুত্ব। যে জাতি গবেষণাকে ঘৃণা করে সে জাতি নিজেকেই ঘৃণা করে। কেননা, গবেষণা বিহীন কেবল আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো যখন আসল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভুলিয়ে দিতে থাকে, তখন সেই অনুষ্ঠানগুলোকেই বোঝা এবং ফালতু মনে হয়। প্রতিবাদের প্রাচীর দাঁড় করিয়ে জ্ঞানীদের মুখ জোর করে বন্ধ করে দিতে চাইলেই জন্ম হয় নাস্তিক্যবাদের।

আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহুল প্রচলিত এবং তথাকথিত মোল্লা এবং স্কলার ও ওয়াজিয়ানদের দ্বারা প্রচারিত এবং মানুষের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত হাজারও ফেরকাগুলোর মৃত্যুঘন্টা বেজে উঠুক সেই সাথে প্রকৃত কোরান দর্শণের সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই লেখকের মূল উদ্দেশ্য এই বইটি লেখার।

এই বইটিতে আলোচিত উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ

*মেজাজি কবর ও হাকিকি কবর *শয়তানের পরিচয় *ধ্যান-সাধনা সম্পর্কে আলোচনা *ইমান সম্পর্কে আলোচনা *তকদির সম্পর্কে আলোচনা *সৃষ্টির বিশেষত্ব ও এককাতারে বিশ্বমানবতা *ধর্ম ও সাধনা *সালাতের আলোচনা *নবী ও রসুল *প্রেম, আত্মা ও প্রাণ *নফস ও রুহ *সঙ্গীত *মারেফত কি?  *বিধান না দর্শণ? ইত্যাদি

পণ্যের বিবরণ
ধরন মিথ্যা, গোড়ামি আর আহম্মকি ফেরকার অবসান এবং কোরান দর্শণের প্রকৃত সত্য প্রকাশ
প্রথম প্রকাশ ২০ মে, ২০০৭
প্রকাশনী সুফিবাদ প্রকাশনালয়
ISBN
ভাষা বাংলা
রিভিউ
Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মারেফতের বাণী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লেখক
বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী

আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।

পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল। 

ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন । 

এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের  কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।

ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Shopping cart
Sign in

No account yet?

বইজগৎ.কম থেকে সম্মানীত পাঠককাস্টমারদের অর্ডার করা বইগুলো (যোগাযোগ করে) খুব শীঘ্রই আবার ডেলিভারি দেয়া শুরু হবে। আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
Shop
0 উইসলিস্ট
0 items Cart
আমার অ্যাকাউন্ট

শেয়ার করুন :