৳ 700.0 Original price was: ৳ 700.0.৳ 595.0Current price is: ৳ 595.0.
পৃথিবীতে প্রথম এবং একমাত্র কোরআন যার প্রতিটা শব্দের যতগুলো সমার্থক শব্দ হয় তার সব এবং হুবহু অনুবাদিত কোরআন। – এটিকে আর দশটি অন্যান্য অনুবাদের সাথে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, অনুবাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। যেগুলোর অনেক আয়াতেরই নিজের মনগড়া অর্থ ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন অনুবাদ কারক। যেমনঃ ‘ভোরের কোরান’কে বলেছেন ‘ফজরের নামাজ’, ‘আমানু’ এবং’মোমিন উভয়কেই বলেছেন ‘মোমিন’ এছাড়া আল্লাহ এবং রব, নবী এবং রাসুল, মানুষ এবং আদম, সলাত প্রতিষ্ঠা এবং পড়ার পার্থক্য মিলিয়ে ফেলা, যাকাত এবং সদকা ইত্যাদির মনগড়া গোজামিল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা ত আছেই। কিন্তু সারা বিশ্বে একমাত্র কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী পবিত্র কোরানুল মাজিদকে হুবহু অনুবাদ করেছেন এবং একটি আরবি শব্দ যতভাবে অর্থ প্রকাশ করে তিনি ততগুলো শব্দের সিনোনেম সহ অনুবাদ করেছেন। দিয়েছেন সেই অনুবাদের ব্যাখ্যাও।
এই অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন পৃথিবী বিখ্যাত আরবি ডিকশনারি এবং কোরান-এর লোগাতসমূহ সংগ্রহ করেছেন যেমনঃ জে বি হাবা, হেন্স ওয়েরি, মিলটন, স্টিফিংগাস এবং রহি বাল্বাকি প্রণীত আরবি ডিকশনারিগুলি পর্যন্ত কাছে রেখে খুব সাবধানে অনুবাদ করেছেন।
যেখানে দেখা যায় যে, তার দেওয়া ব্যাখ্যার কোনোটিই একটির সাথে আর একটি সাংঘর্ষিক নয়। যদিও তিনি মাত্র ৩৭টি সুরার অনুবাদ তথা বলা যায় যে, অর্ধ কোরআন বা ১৫পারা অনুবাদ করতে পেরেছেন।
তবে দীর্ঘ ৫৩ বছর সাধনা ও গবেষণা করে এই কোরআন সম্পর্কে ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা ঈমান আল সুরেশ্বরী মন্তব্য করেছেন যে, এই কোরআন সম্পর্কে তিনি কিছুই বোঝেন নাই বা জানেন নাই।
ধরন | হার্ড কভার | ১২৮০ পৃষ্ঠা |
প্রথম প্রকাশ | ডিসেম্বর ২০১৫ |
প্রকাশনী | সুফিবাদ প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাসুফিবাদ হাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
BoiJagot Author (verified owner) –
পৃথিবীতে এটাই প্রথম এবং একমাত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ যেখানে কোরআনের প্রতিটা আরবি শব্দের সর্বোচ্চ সংখ্যক সমার্থক শব্দানুবাদ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোরআনে ব্যবহৃত একটি আরবি শব্দের যতগুলো অর্থ হয়, তার সবগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান বাজারের কোরানের আর দশটি অন্যান্য অনুবাদের সাথে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, একেকটায় একেক রকম অর্থ করা হয়েছে। আরবি ডিকশনারির সাথে ঐসকল অনুবাদের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কেননা সেগুলোর অনেক আয়াতেরই নিজের মনগড়া অর্থ ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন অনুবাদ কারক। যেমনঃ ‘ভোরের কোরান’কে বলেছেন ‘ফজরের নামাজ’, ‘আমানু’ এবং’মোমিন উভয়কেই বলেছেন ‘মোমিন’, ‘নফস’কে বলেছেন ‘আত্মা’, রূহ’কে বলেছেন জিব্রাইল, সালাত প্রতিষ্ঠাকে বলেছেন সালাত পড়া, ‘মোমিন হওয়া পর্যন্ত’কে ব্যাখ্যা করেছেন ‘মৃত্যু পর্যন্ত’, ‘মৃত্যু বরণ’কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘কবরে যাওয়া’ ইত্যাদি।