৳ 920.0 Original price was: ৳ 920.0.৳ 730.0Current price is: ৳ 730.0.
কুরআন নামাজ ও গান বাজনা কম্বো-৩ অফারে থাকছে একসাথে তিনটি বই যথাক্রমে –
- কোরানুল মাজিদ (হুবহু অনুবাদ ও কিছু ব্যাখ্যা)
- কোরানের দৃষ্টিতে নামাজ (৮২ বার) এবং
- গান বাজনার দলিল
তিনটি বই-ই অসাধারণ এবং যুগান্তকারী ও সার্বজনীন অধ্যায়।
কোরান- এর আর দশটি অন্যান্য অনুবাদের সাথে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, অনুবাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। যেগুলোর অনেক আয়াতেরই নিজের মনগড়া অর্থ ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন অনুবাদ কারক। যেমনঃ ‘ভোরের কোরান’কে বলেছেন ‘ফজরের নামাজ’, ‘আমানু’ এবং’মোমিন উভয়কেই বলেছেন ‘মোমিন’ এছাড়া আল্লাহ এবং রব, নবী এবং রাসুল, মানুষ এবং আদম, সলাত প্রতিষ্ঠা এবং পড়ার পার্থক্য মিলিয়ে ফেলা, যাকাত এবং সদকা ইত্যাদির মনগড়া গোজামিল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা ত আছেই। কিন্তু সারা বিশ্বে একমাত্র কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী পবিত্র কোরানুল মাজিদকে হুবহু অনুবাদ করেছেন এবং একটি আরবি শব্দ যতভাবে অর্থ প্রকাশ করে তিনি ততগুলো শব্দের সিনোনেম সহ অনুবাদ করেছেন। দিয়েছেন সেই অনুবাদের ব্যাখ্যাও।
‘কোরানের দৃষ্টিতে নামাজ (৮২ বার) হুবহু অনুবাদ ও সামান্য ব্যাখ্যা’ বইটি নভেম্বর, ২০১২ সালে চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী রচিত প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটিতে লেখক খুব সাবধানতা অবলম্বন করে পবিত্র কোরানের নামাজ সম্পর্কিত আয়াতগুলোর বাংলা উচ্চারণ এবং হুবহু অনুবাদ অর্থাৎ কোন ধরনের নিজস্ব মতামত বা ধারণার প্রতিফলন না দেখিয়ে কোরানের শব্দগুলোর একটি আরবি শব্দের যত প্রকার অর্থ হতে পারে তার প্রায় সবগুলোই তিনি বাংলায় অনুবাদ করে এবং সেই সাথে তিনি শব্দগুলোর ব্যাখ্যাও করে দেখিয়েছেন।
‘গান বাজনার দলিল’ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর এর আরও একটি অন্যতম প্রধান বই যেখানে কুরআন ও হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে গান বাজনার স্বপক্ষে দৃঢ আলোচনা করেছেন। নিঃসন্দেহে পাঠকের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। বইটি পড়ে পাঠক নিজেই বিচার করতে পারবেন গান বাজনা সম্পর্কে প্রচলিত ধর্মীয় জ্ঞান বা ইসলামি তথাকথিক স্কলার এবং ওয়াজিয়ানদের দলিল কি আর প্রকৃত কুরআন হাদিসের বক্তব্য কি?
যুগের পর যুগ ধরে একটা ভ্রান্ত ও মিথ্যা ধারণা আর প্রচারের মাধ্যমে গান বাজনা তথা সঙ্গীতকে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেটাকে বলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।
গান বাজনার স্বপক্ষে আল-কুরআনের সুস্পষ্ট ও নির্ভূল প্রমাণ আপনার হাতের কাছেই আছে। বইটি পড়ে পাঠক নিজেই কুরআনের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
ধরন | হার্ড কভার ও বুক কভার | ১২৮০, ৬৪ এবং ১৬০ পৃষ্ঠা |
প্রথম প্রকাশ | ডিসেম্বর ২০১৫, ১৫ এপ্রিল ২০২২, নভেম্বর ২০১২ এবং |
প্রকাশনী | সূফীবাদ প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Reviews
There are no reviews yet.