ই-বুকঃ ‘মারেফতের গোপন কথা’ বইটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারছেন সম্পূর্ণ ফ্রী >>
৳ 280.0 Original price was: ৳ 280.0.৳ 0.0Current price is: ৳ 0.0.
ই-বুকঃ ‘মারেফতের গোপন কথা’ বইটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারছেন সম্পূর্ণ ফ্রী’তে >>
‘মারেফতের-গোপন-কথা’ – বইটি ডা. বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী’র লেখা এযাবৎকালের সেরা বই। বইটি ১৯৭৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। কোরান-এর শব্দগুলো কীভাবে বিকৃত করেছে, আপনি অবাক হবেন যদি আপনার চোখে ধরিয়ে দেওয়া হয়। অনেকটা ছোট ইঁদুর যেমন লেপ-তোশক কাটে সে রকমভাবে এদের বিকৃত, ভুল, বানোয়াট এবং ‘মন যাহা চায়’ মার্কা অনুবাদ্গুলো খুব সাবধানে না পড়লে এদের ধরাই যাবে না। বস্তাপচা একটি পুরনো মালগুদামের তফসিরে ‘কোরান’ শব্দটিকে ‘সালাত’ অনুবাদ করতে উপদেশ খয়রাত করেছেন। আর কী? রাজায় নাচতে বলেছে তাই তো এত নাচানাচি। যদি প্রশ্ন করেন যে, কেন কোরানকে সালাত বলে ধরে নিতে যাব? উত্তরটি হবেঃ না হলে বাক্যের ভাবটি মিলাতে পারছি না। এ রকমভাবে তালকে বেল, আমকে কাঁঠাল এবং আনারসকে কলা মনে করে নেবার মতো অনুবাদে হাজারো বিকৃত আদেশ-উপদেশ পাবেন। আর এসব অখাদ্য খেতে বসে আপনার মনে কোরান-এর উপর যা-তা মন্তব্যের বোবা প্রতিবাদগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, কিন্তু প্রতিবাদ না করতে পারলে বন্দুকের নলই ফেটে যাবার মতো আপনিও ফেটে যেতে পারেন।
এরকম ভুল ধরিয়ে দিয়ে লেখা অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিস্ময়কর রচনা ‘মারেফতের গোপন কথা’; ঘন তমসায় উৎকট আলোর সরল রেখায় উল্কার নেমে আসার নাম ‘মারেফতের-গোপন-কথা’। সংকীর্ণতা, গোঁড়ামি, অখন্ডতায় খন্ডতার মানসিক বিকারে বিকৃত লিখন, নোংরামির স্থুলতাকে সার্বজনীন নামের মালা পরাতে নির্লজ্জ, বিশ্বাসঘাতক আখ্যায়িত করে তৃপ্তির পৈশাচিক অবগুন্ঠনের প্রকাশ্য উন্মোচনের নাম ‘মারেফতের-গোপন-কথা’। সার্বজনীনতার শৈলীর ঠমক তাল হারায় নি কোনো প্রভাবশালীর লাল নয়নের ভ্রূকুটিতে। পাঠক বইটি পড়েই অনেক প্রশ্নের ঝড়ে বদলিয়ে নেয় চিন্তার বাঁধন। বারুদের ধুমায়িত আহত পাখির আহত চাহনির মতো দৃষ্টির স্থবিরতা এনে দেয় যে বইটি তার নাম ‘মারেফতের-গোপন-কথা’। বিকৃত করে রাখা কোরান-এর অনুবাদগুলোর গোমর ফাঁক করা ভূমিকম্পের মতো প্রচন্ড নাড়া দেওয়া হয়েছে ‘মারেফতের-গোপন-কথা’ বইটিতে।
ইসলামি ধর্ম-দর্শনের প্রচন্ড বিস্ফোরণে বিমোহিত হবার নাম ‘মারেফতের-গোপন-কথা’। চিন্তার সাজানো অট্টালিকায় ডিনামাইটের কানফাটা শব্দের মতো যার শব্দ তার আবর্জনার আত্মবিরোধের বিকৃত স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকছে, তার নাম ‘মারেফতের-গোপন-কথা’।।
ধরন | অনলাইন কপি |
প্রথম প্রকাশ | ১৯৯৭৭ সালে |
প্রকাশনী | সুফিবাদি প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Reviews
There are no reviews yet.