৳ 2,020.0 Original price was: ৳ 2,020.0.৳ 1,600.0Current price is: ৳ 1,600.0.
কম্বো অফার-৫: কুরআন দর্শণ ও আত্মউন্নয়নের সেরা ১০টি বই
‘সূফীবাদ আত্মদর্শণের একমাত্র পথ’ – সুফিবাদই আত্মপরিচয় বা আত্মদর্শণ। আত্মদর্শণ হলো আত্মার দর্শণ বা আত্মার সাথে তথা নিজের সাথে নিজের পরিচয় এবং নিজেকে আবিস্কার করা। নিজে মানে নিজের দেহের ভেতরে থাকা প্রাণ বা নফস। যে না থাকলে দেহ থাকেনা আবার দেহ না থাকলে যার প্রকাশ ঘটেনা। আবার দেহের ভেতরে সেই আমি তথা প্রাণ, প্রাণের মাঝে অন্তর আর অন্তরের মাঝে থাকে শয়তান। শয়তান ছাড়া মানুষ হয় না, আবার মানুষের অন্তর ছাড়া শয়তানের থাকার জায়গা থাকে না। আর সেই অন্তরের ভেতরে থাকা শয়তানি কর্ম তথা লোভ, হিংসা, অহংকার, কামনা এবং মোহ থেকে আমিকে মুক্ত করাই হলো সূফীবাদ, আত্মদর্শণ বা মানব মুক্তি।
এই সকল বিষয়ে কুরআন দর্শণ এবং বাস্তবিক যুক্তির দ্বারা সুস্পষ্ট, সুন্দর এবং সত্য সাহসিক বয়ান আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেছেন ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী তার লেখা বইগুলোতে। একইসাথে সমাজে প্রচলিত এবং বহুল ব্যবহারিত কুরআনের ভুল, বানোয়াট ও মনগড়া অনুবাদ এবং ব্যাখ্যার জবাব দিয়ে কুরআন মাজিদের হুবহু অনুবাদসহ কুরআন দর্শণের সত্য তুলে ধরেছেন। সেই বইগুলো থেকে ১০টি বই নিয়ে আমাদের বইজগতের কম্বো অফার-৫।
বইগুলো হলোঃ
১। মারেফতের গোপন কথা
২। মারেফতের বাণী
৩। নিহ্নবে চিত্তদাহ সুফিবাদ সার্বজনীন
৪। মারফতের গোপনেরও গোপন কথা
৫। কোরানের দৃষ্টিতে নামাজ (৮২ বার) হুবহু অনুবাদ ও সামান্য ব্যাখ্যা
৬। গান বাজনার দলিল
৭। শরিয়তি সেজদা মারফতি সেজদা
৮। কোরান ও হাদিসের দৃষ্টিতে রোজা, ইফতার, যাকাত, হজ্জ ও কুরবানী
৯। আল্লাহ কোথায় থাকেন? এবং
১০। ভন্ড পীর ও পাগলা কুকুর হতে সাবধান
ধরন | হার্ড কভার(৮) এবং বুক কভার(২) | যথাক্রমে ২৮৮, ২৫৫, ২৫৬, ৩৮৪, ১৬০, ৬৪, ৮০, ১৪৪, ৯৬ এবং ১৪২ পৃষ্ঠা |
প্রথম প্রকাশ | যথক্রমে অক্টোবর-১৯৭৭, মে-২০০৭, ফেব্রু-২০০৮, মে-২০১৯, নভে-২০১২, এপ্রিল-২০২২, আগস্ট-২০১৪, মে-২০১৯, মে-২০১৫ এবং আগস্ট-২০২২ |
প্রকাশনী | সূফীবাদ প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Reviews
There are no reviews yet.