৳ 170.0 Original price was: ৳ 170.0.৳ 145.0Current price is: ৳ 145.0.
‘ফকিরির আসল কথা’ – বইটির লেখক ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী। ফকিরির আসল কথা পড়লে বুঝতে পারবেন প্রচলিত ফকির আর আসল ফকিরের মধ্যে কত পার্থক্য! সুফিবাদি ফকির বা মারেফতি ফকির আসলে এমন এক ফকির যার আসলে এই বাহ্যিক জগতের কিছুই দরকার নাই। কিংবা বলা যায় যে, যা দরকার তার কোনকিছুই তার অভাব নাই। সৃষ্টি জগতে আমরা যা দেখতে পাই তা আসলে যা দেখতে পাইনা তার তুলনায় অতি সামান্য। এই রহস্যময় জগতে আমরা যাকে ফকির ভাবি এবং ফকিরি হালাতে দেখি আসলে আমরা বুঝিই না যে আমরা কি দেখিনা। অর্থাৎ এই মহা জগতে অনেকগুলো লেয়ার আছে, স্তর আছে, শব্দের স্তর, দৃষ্টির স্তর, অনুভবের স্তর, আলোর স্তর এরকম আরও অনেক কিছু। যার মধ্যে মানুষ হিসাবে আমরা দেখি, শুনি, অনুভব করি এবং বুঝি অতি সামান্য। বাকি সমস্ত কিছু আমাদের জ্ঞানের সীমার বাইরে।
একজন প্রকৃত ফকির বা সাধক সেই স্তরগুলোর অনেক কিছুই ধরতে পারে। যারফলে সে আর আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করেনা। আমরা তাকে ফকির বা পাগল বলি। সেই ফকিরির আসল কথা নিয়ে লেখক এখানে সামান্য কিছু আলোচনা করেছেন।
যেমনঃ – *আমিই শাহেন শান *আল্লাহ কেন কর্জ চায়? *একের ইতি শূণ্য *সত্য চাই, সাইনবোর্ড নয় *উত্তর দিতে পারি নাই *বিদ্যা আর জ্ঞান এক নয় *কে এই বাবা জাহাঙ্গীর? *এই সেই সেজদা *কি সুন্দর বয়ানের বমি *নেড়ি কুত্তাও নাম লয় না *এরাই ফকিরির বারোটা বাজায় *মানুষ হব কেমনে? *নীতি ও প্রেম *সংজ্ঞার আবরণীর আবরণে ভালোবাসা থাকেনা; ইত্যাদি।
ধরন | হার্ড কভার | ৬৪ পৃষ্ঠা |
প্রথম প্রকাশ | আগস্ট ২০১৮ |
প্রকাশনী | সূফীবাদ প্রকাশনালয় |
ISBN |
ভাষা | বাংলা |
আধ্যাত্মিক গুরু ও সুফিবাদ বিষয়ক গ্রন্থ রচয়িতা ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সুফিবাদ বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। কোরআন শরিফের শাব্দিক তরজমা ও তফসিরকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। বিশিষ্ট বক্তা ও ওয়াজকারী বাবা জাহাঙ্গীর এক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার ভক্তদের মোরাকাবা বা ধ্যানসাধনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করতেন। নরসিংদীতে তিনি একটি আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রকৃত ইসলাম যে সুফিবাদের ইসলাম, পীরের কাছে বায়াত হওয়া মানে যে, অহংকার বিসর্জন দেয়া, আর মুসলমান হতে হলে যে পীর ধরতে হবে – এসব কথা তিনি বলেছেন অবলীলায়। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী মনিষীগণ প্রত্যেকেই যে পীর ধরেছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ প্রত্যেক বুজুর্গানের পীরের নামসহ তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে যে কয় জন মহান অলি সুফিবাদ গবেষণায় এবং প্রচার প্রসার এ অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে শাহ সুফি ডা, বাবা জাহাঙ্গির বা ঈমান আল সুরেশ্বরী (রহঃ) অন্যতম। আগামী শত বছর এ এমন একজন সুফি তথা আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক এর জন্ম হবে কিনা জানি না। কারন তিনি তার গবেষণার ফল বিনা মূল্যে নিঃস্বার্থে একমাত্র মানুষের মুক্তির নিমিত্তে বিলিয়েছেন, যা অন্য সুফিদের ক্ষেত্রে বিরল।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ এবং এর পরে চট্রগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে বছর এর পর বছর সাধনা করে গেছেন। সাধনা করতে করতে বাবার দেহে রক্ত মাংস কিছুই ছিল না ,ছিল বাকি শুধু দেহ খাঁচা। সাধনায় সিদ্ধি পাওয়ার পর বাবা এই কঠোর সাধনায় বিরতি দেন। তার পীর শাহ সুফি জালাল নুরি ছিলেন বাবা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বংশধর। বাবা শাহ সুফি আওলিয়া হযরত জালাল নুরির প্রধান খলিফা ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির। বাবা শাহ সুফি জালাল নুরি ডাঃ বাবা জাহাঙ্গির কে বিনয়ের সম্রাট বলে ডাকতেন ।
এছাড়া তিনি চেরাগে জান শরীফ উপাধি প্রাপ্ত হন। বাবা যেমন একজন আধ্যাত্মিক জগতের সাধক তেমনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও বাবা বেছে নিলেন সুফিবাদকে নিজের জীবনের লক্ষ হিসেবে। শুধু তাই নয় ধ্যান সাধনার এতো সহজ নিয়ম দিয়ে রহস্যলোকের কিছু দর্শন পাবার নিশ্চয়তা ডা, বাবা জাহাঙ্গির ছাড়া আর কোন পীর মুর্শিদ দেয় কিনা জানি না। সাহস করে তিনি বলেছেন- “ধ্যান সাধনা করে কিছু না পেলে আমাকে ফেলে অন্য গুরু ধরিও।” জীবনে কি কখনও শুনেছেন “জীবন ভর বাবা বাবা ডাকবা অথচ কিছু পাবে না তাহলে বাবা ডাকার সার্থককতা কোথায়???।” বাবা জাহাঙ্গীর এর ভক্তরা শ্রদ্ধেও অহাবি, সালাফি, জামাত শিবির, শিয়া, ভাই দের ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর এই চেলেঞ্জ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। এর পর কিছু না পেলে পীর অলিদের বিরোধিতা করুন। পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর বিরোধিতা করবেন কেন? ডা, বাবা জাহাঙ্গির এর সাধনা যে কোন পীর এর মুরিদ বা যে কোন ধর্মের মানুষ করতে পারবে।
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ২০২০ সালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Reviews
There are no reviews yet.